
জুলাই ৩৬ নিউজ | আদালত ডেস্ক | ২২ জুলাই ২০২৫
আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত বিএনপি কর্মী মামুন খন্দকার হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহ হিল কাফি ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আরাফাত হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগ এই আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. মাহমুদুল হাসান দুই আসামির প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে এবং আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইলে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন”-এর কর্মসূচিতে অংশ নেন বিএনপি কর্মী মামুন খন্দকার। সেখানে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। স্থানীয়রা প্রথমে হাবিব ক্লিনিকে এবং পরে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স আটকানো হয়, অভিযোগে বলা হয়— আসামিরা মহাসড়কে বাধা দেন। বাধ্য হয়ে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ৭ আগস্ট লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান মামুন।
👉 এরপর ২২ আগস্ট নিহতের স্ত্রী আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরপরই ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে এক অজ্ঞাত লাশ পোড়ানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভিডিও বিশ্লেষণে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আরাফাত হোসেনকে সেখানে উপস্থিত ও জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাকে ১৩ সেপ্টেম্বর আফতাবনগর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
অন্যদিকে, সাবেক এডিসি আব্দুল্লাহ হিল কাফিকে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে একই বছর হাজারীবাগে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলায় ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল।
রিমান্ডের আইনগত অগ্রগতি:
দুই আসামির বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ: “আসামিরা পরিকল্পিতভাবে বাধা দিয়ে মৃত্যুর কারণ হয়েছেন।”
আদালত বলেছেন: তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড প্রয়োজনীয়।